বাংলাদেশ হারায় ক্ষেপে গিয়ে যা বললেন বিসিবি সভাপতি ফারুখ আহমেদ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারলেও দলের পরাজয় নিয়ে বিন্দুমাত্র হতাশার ছাপ নেই বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদের চেহারায়। তিনি এটিকে সাধারণ ম্যাচের মতো করেই ভাবছেন।
তানজিদ, মিরাজ, জাকের ও মাহমুদউল্লাহ ওমন ব্যাটিংয়ের পর প্রত্যাশা ছিল এই ম্যাচে হয়তো বাংলাদেশ জিতবে। তার বিশেষ কারণ- বাংলাদেশের বোলিং। বিগত সময়ে বাংলাদেশের পেসাররা ছিলেন সেরা। তবুও যেন ওয়ানডেতে যেন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
শুরুতেই দুই উইকেট নিলেও হোপ ও কার্থির ৬৭ রানের জুটি ও হোপ-রাদারফোর্ডের ৯৯ রানের জুটি দৃশ্যপট বদলে দেয়। অবশ্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিটা করেছেন রাদারফোর্ড। তাঁর বিধ্বংসী ইনিংসেই যেন নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের পরাজয়। বিসিবি প্রধান উপস্থিত ছিলেন সেখানে। উপস্থিত থেকে দলের পরাজয় দেখেছেন। ম্যাচ শেষে তাঁর কাছে ম্যাচ সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু প্রশ্ন রাখা হয়। তিনি বলেন,
“আমি আসলে খুব খুশি হতাশ না। আমার মনে হয় শুরু থেকে আমরা খুব ভালো ব্যাটিং করেছি। ২৯৫ রান- ভালো স্কোর। আমি সবসময় মনে করি হার-জিত খেলারই অংশ কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা আমরা ধারবাহিকভাবে ভালো খেলতে পারছি। আমার কাছে এটা অন্য ম্যাচগুলোর মতোই সাধারণ একটি ম্যাচ।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা অন্তত ভালো ব্যাটিং করেছি। আমাদের ওপেনিং বোলিং স্পেল খুবই ভালো হয়েছে। তাঁদের দু’জন সেরা ব্যাটারকে অনেকক্ষণ আটকে রেখেছিলাম। উইকেট ভালো ছিল, তেমন সুযোগ আমরা পাইনি। ওরা ভালো ব্যাটিং করেছে।”
টেস্টের মতো ওয়ানডেতেও নাহিদ রানা মোটামুটি ভালো বোলিং করেছেন। তাঁকে প্রশংসায় ভাসালানে বিসিবি প্রধান। অন্যদিকে ফারুক আহমেদ সেন্ট কিটসের মতো উইকেটে যত বেশি খেলবে ততবেশি জয়ের পরিসংখ্যান বাড়বে বাংলাদেশের।
“নাহিদ রানা আবারও দুর্দান্ত বোলিং করেছে। ওদের একটা ব্যাটারের মাথায় বল লাগার পরও সেঞ্চুরি করেছে। এই ম্যাচে বেশ কিছু ভালো মোমেন্ট রয়েছে আমাদের। তাই এরকম ম্যাচ দেখতে আমার ভালো লাগে। কারণ তুমি যত বেশি এরকম ম্যাচ খেলবে ততবেশি জয়ের পারসেন্টেজ বাড়বে।”
ওপেনিংয়ে তানজিদ খেলেন ৬০ বলে ৬০ রানের ইনিংস। মিরাজ যদিও ধীরগতির ব্যাটিং করেছেন। ১০১ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষদিকে জাকের ৪০ বলে ৪৮ ও মাহমুদউল্লাহর অপরাজিত ৪৪ বলে ৫০ রানের ইনিংসে স্কোরবোর্ডে ২৯৪ রান তোলে বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে এমন রান- মন্দ নন বললেন ফারুক আহমেদ।
“একটা ওয়ানডেতে বিদেশের মাটিতে ২৯৪ রান করা সহজ ব্যাপার নয়। আমরা সবাই জানি এটি ব্যাটিং বান্ধব উইকেট। এখানকার উইকেটের কারণে ওরা এখানে বেশিরভাগই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজন করে। ২০টা রান এদিক-সেদিক হলে কিছু হলেও হতে পারত। মোমেন্টাম আমাদের হাতে ছিল কিন্তু সেটা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। এই ধরণের ম্যাচ আমি কখনও হতাশ হই না আসলে।”
Comments
Post a Comment